“একটি দল তখনই সফল যখন সে দেশে ন্যায় ও অধিকার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় এবি পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি-সংগঠকদের এক ভার্চুয়াল সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কাসেমের সভাপতিত্বে ও জননেতা এডভোকেট গোলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট তাজুল ইসলাম। অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অপরাধ বিজ্ঞানী ড. শাহেদ চৌধুরী।
জেলা নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন লক্ষীপুর জেলা সমন্বয়ক চৌধুরী মো. সাকিব, বি-বাড়িয়া জেলা সমন্বয়ক ইব্রাহিম খান সাদাত, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট মোস্তফা নুর, কক্সবাজার জেলা আহ্বায়ক এডভোকেট এনামুল হক শিকদার প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন- বাংলাদেশকে নিয়ে হতাশার অনেক দিক থাকলেও আমাদেরকে আশাবাদী মনোভাব পোষন করতে হবে, তাহলেই এই দেশকে নতুন করে পূণর্গঠনে এবি পার্টি যে রাজনীতির কথা বলছে তা সফল হবে। তিনি বলেন মুসলমান হিসেবে ব্যক্তির চুড়ান্ত সাফল্য পরকালে কিন্তু একটি দলের সাফল্য দুনিয়াতে সীমাবদ্ধ। একটি দল তখনই সফল যখন সে দেশে ন্যায় ও অধিকার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। এবি পার্টি যাতে সফল রাজনৈতিক দল হতে পারে সেজন্য তিনি পরিকল্পনা প্রণয়নের আহবান জানান।
প্রধান বক্তা এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন- এদেশের অর্থনীতিতে নিম্নবিত্ত ও নিম্নবর্ণের মানুষদের অবদান সবচেয়ে বেশী। কিন্তু তাদের কোন অধিকার নেই। তারা যুগ যুগ ধরে অবহেলিত ও বঞ্চিত। এবি পার্টি সেবা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতির মাধ্যমে এসব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
বিশেষ অতিথি প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন নতুন দলকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সার্বক্ষণিক দলের জন্য সময় উৎসর্গ করতে হবে। তিনি দলের মরহুম নেতা এরশাদ হোসেন সাজু’র অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন তৃণমূল পর্যায়ে আরো নিষ্ঠার সাথে কাজ করে দলকে মাটি ও মানুষের দলে পরিণত করতে হবে।
এডভোকেট তাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন এই রাষ্ট্রে আজ অবৈধ এমপি, মন্ত্রীদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা নাগরিকরা যেন দাস। এই দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অপরাধ বিজ্ঞানী ড. শাহেদ চৌধুরী তাঁর এবি পার্টিতে যোগদানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, এবি পার্টি জেলা-উপজেলায় সংগঠন তৈরীর যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমি খুবই উৎসাহিত। তিনি বলেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমার যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা তা দেশের জন্য কাজে লাগাতে চাই। দল চাইলে তিনি দেশে ফিরে এসে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।
সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু বলেন- আমাদের এখন অগ্রাধিকার হলো দলের নিবন্ধন সম্পন্ন করা, এজন্য তিনি নেতা কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কাসেম বলেন, এবি পার্টি শিশু থেকে এখন কৈশোরকাল অতিক্রম করছে। জাতির কঠিন ক্রান্তিকালে এবি পার্টির সংগ্রামী পদক্ষেপ তাই সাফল্য ছাড়া আমাদের দ্বিতীয় কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, যে বেসিক ডেমোক্রেসির প্রতিবাদে পাকিস্তানী শোষকদের বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম করেছি এখন সেই বেসিক ডেমোক্রেসি এবং তার চাইতেও খারাপ অবস্থা আবার ফিরে এসেছে, তাহলে পঞ্চাশ বছরে আমরা কী পেলাম?
সম্মেলন শেষে সঞ্চালক এডভোকেট গোলাম ফারুক সবাইকে ধন্যবাদ জানান।